রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন
দলের সাধারণ সম্পাদককে বললেন উপ-কমিটি বন্ধ করতে, আরও যাচাই করে তারপর উপ-কমিটি চূড়ান্ত করতে।
আওয়ামী লীগ তার সাংগঠনিক কাজের সুবিধার জন্য বিভিন্ন সম্পাদকের অধীনে উপ-কমিটি গঠন করে। এই উপকমিটিগুলোর সদস্যরা সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এবার যে উপ-কমিটি গঠন করার প্রস্তাব করা হয়েছিল, তা ছিল বিএনপি-জমাতের অনুপ্রবেশকারী দিয়ে ভরপুর। এ নিয়ে দলের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। দলের কয়েকজন পোড়খাওয়া ত্যাগী কর্মী প্রধানমন্ত্রী এবং দলের সভাপতির কাছে উপ-কিমিটিতে সহ-সম্পাদক মনোনয়ন নিয়ে অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ আনেন।
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী দপ্তর সম্পাদকের কাছে উপকমিটির তালিকা চেয়ে পাঠান। তালিকার নামগুলো সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নিজে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছে এলে তিনি নিজেই অবাক হয়ে যান।
আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সূত্র গুলো জানাচ্ছে উপ-কমিটিতে যাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তাদের একটি বিরাট অংশই জামাত-বিএনপি থেকে অনুপ্রবেশকারী। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগে) আহমেদ হোসেনের উপ-কমিটির সহ সম্পাদক মনোনয়ন পান রাজবাড়ী ছাত্রদলের সাবেক নেতা মাহমুদুর আসাদ রয়েল, একই উপ-কমিটিতে স্থান পেয়েছেন ইতালি বিএনপির নেতা আমান উল্লাহ আমান।
রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর উপকমিটিতে সহসম্পাদক সেলিম রেজা সুইট পাবনা জেলা ছাত্রদলের নেতা। ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিদুল হাসান চৌধুরী নওফেলের উপকমিটির সহসম্পাদক এইচএম মিজানুর রহমান ঢাকা কলেজের ছাত্রদল নেতা। দপ্তর উপকমিটির সহসম্পাদক মনোনীত অ্যডভোকেট ফয়সাল আহমেদ রিয়াদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতা। একই কমিটিতে আছেন কে.এম কবির হোসেন যিনি ঢাকা কলেজের ক্যাডার ছিলেন।
সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-কমিটিতে সহ-সম্পাদক হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছিল ছাত্রদলের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা সঙ্গীত শিল্পী এসডি রুবেলের নাম। এই তালিকায় অনেক ত্যাগী এবং পরীক্ষিত কর্মীদের নাম নেই।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, এই তালিকা দেখে বিরক্ত প্রধানমন্ত্রী অনতিবিলম্বে যাচাই বাছাই করে নতুন করে উপকমিটি গঠনের জন্য দলের সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দিয়েছেন।.
গত কয়েক বছর ধরেই আওয়ামী লীগে জামাত-বিএনপির অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী এসব অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন। সদস্য নবায়নের সময়ও অনেক জামাত-বিএনপি চিহ্নিত হয়েছিল।